সোনাগাজীতে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ আটক সোনাগাজী (ফেনী ) প্রতিনিধি :এক আলিম পরীক্ষার্থী ছাত্রীকে প্রশ্ন দেয়ার প্রলোভনে নিজ অফিস কক্ষে ডেকে এনে যৌন হয়রানির অভিযোগে আটক হয়েছেন সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সিরাজ উদদৌলা। বুধবার দুপুরে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে ঘটে বলে জানান ছাত্রীমা শিরিনা আক্তার। শ্লীলতাহানীর শিকার ছাত্রী মাদ্রাসার আলিম দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।এ বিষয়ে ছাত্রীর মা বাদী হয়ে সোনাগাজীমডেল থানায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতারকৃত সিরাজ উদ দৌলা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির ও উপজেলার আমিরাবাদ ইউপির চরকৃঞ্চজয় গ্রামের মৃত করিম উল্যাহর ছেলে।তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দৌলতপুর সালামতিয়া মাদ্রাসায় ছাত্র বলৎকারের অভিযোগ রয়েছে।এলাকাবাসীর আন্দোলনের প্রেক্ষিতে মাদ্রসা কর্তৃপক্ষ তাকে বহিস্কারকরে।ঘটনাটি জানাজানি হলে ছাত্রীর পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজন মাদ্রাসায় প্রবেশ করে হইহুল্লোড় শুরু করলে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি রুহুল আমিন,পৌর কাউন্সিলর শেখ আব্দুল হালিম মামুন, উপজেলা যুবদলের সাধারন সম্পাদক খুরশিদআলম ভুঞা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের শান্ত করে পরে পুলিশ মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষ ও ছাত্রীকে থানায় নিয়ে যায়এ সময় ছাত্রী বলেন, বুধবার দুপুরে অধ্যক্ষ মাদ্রাসার পিয়নকে দিয়ে আমাকে অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়।কথা বলার একপর্যায়ে তিনি আমার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ঝাপটে ধরার চেষ্টা করে।আমি দ্রত নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে অফিস কক্ষত্যাগ করি তবে পিয়ন নুরুল আমিন বলেন, তিনজন ছাত্রী একসাথে অফিস কক্ষে যায়,আমি দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম।অফিস কক্ষে দুইতিন মিনিট অবস্থান করার পর তারা বেরিয়ে যায়।তারা ওই সময় আমাকে কিছু জানায়নি।ছাত্রীর ভাই মাহমুদুল হক নোমান জানান, বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মাদ্রাসায় গিয়ে অধ্যক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি ঘটনাটিঅস্বীকার করেন এবং বলেন এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোমাদের চার ভাইকে মাদ্রাসা থেকে বহিস্কার করা হবে।কয়েকজন ছাত্র জানায়, বৃহস্পতিবার দোয়া অনুষ্ঠানের বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ার জন্য আলিম শ্রেনীর ছাত্র ও ছাত্রীরা সকালেঅধ্যক্ষের কক্ষে যায়। পরামর্শ শেষে আমরা শ্রেণী কক্ষে চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ছাত্রীটি অসুস্থ্য বলে বাড়ীতে চলে যায়।ওইসময় সে আমাদের কিছু জানায়নি।সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ছাত্রীর মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকেগ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে।এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার একাধিক ছাত্রী ও অভিভাবকদের সাথে আলাপ কালে জানাগেছে, ছাত্রীদের সাথে অধ্যক্ষেরযৌনহয়রানির বিষয়টি অনেকটা “ওপেন সিক্রেট” অতীতে বেশ কিছু ছাত্রীর সাথে আরো জঘন্য ঘটনা ঘটলেও মাদ্রাসারশিক্ষকবৃন্দ ও কর্তৃপক্ষ এতদ বিষয়ে কোন কার্যকরী ভূমিকা পালন করেনি।