পাঁচবিবিতে যমুনা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন
প্রকাশকালঃ ৬:৩৫ অপরাহ্ণ, ১৩ জানুয়ারি, ২০২১

জয়পুরহাট প্রতিনিধি:–জয়পুরহাটের যেখানে বাংলাদেশ সরকার নদী ভাঙ্গন রোধে এবং ফসলি জমি রক্ষার্থে বাঁধ নির্মাণ করে কৃষকদের ফসলি জমি রক্ষা করে, সেখানে পাঁচবিবি উপজেলার চিহ্নিত চক্র অবৈধভাবে ছোট যমুনা নদীর পাড় কেটে বালু নিয়ে যাচ্ছে বলে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এতে পাড় ঘেষা ফসলি জমি ও বাড়ি হুমকীর মুখে পড়েছে।উপজেলার আয়মা রসুলপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাসবাট্টা গ্রামের পাশদিয়ে ছোট যমুনা নদীরপাড় ভেকু দয়ে অবৈধভাবে কাটছে চক্রটি। নদীর পাড় সহ খাসবাট্রা গ্রামের বাড়ীর পাশে ফসলি জমি প্রায় ১৫-২০ ফিট গভীর ভাবে খনন করে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমি দস্যুরা। কয়েক বছর ধরে এসব ভূমি দস্যুরা প্রকাশ্য ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার গুলোকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে ফসলি জমি খনন করে আসছে। গ্রামবাসী বলেন, বালু উত্তোলনকারীরা এতটাই ভয়ংকর যে, তাদের বিরুদ্ধে কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না। বালু ব্যবসায়ীদের অত্যাচারে এলাকার কৃষকদের চাষাবাদ করা অসম্ভব হয়ে উঠেছে। স্থানীয় খাসবাট্টা গ্রামের ভূক্তভোগী কৃষক পরিবারের সদস্যরা জানান, অবৈধভাবে নদীরপাড় খননের ফলে প্রায় ৫০ একর ফসলি জমি ইতিমধ্যে নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। ভেকু দিয়ে নদীর পাড় ও ফসলী জমি কাটার ফলে পার্শ¦বর্তী ফসলী জমিসহ বসতবাড়ীও এক সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ৩০ ডিসেম্বর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি ও নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও, প্রশাসন কোন ধরনের উদ্যোগই নিচ্ছে না বলে জসিম উদ্দিন নামের এক কৃষক জানান। ৯জানুয়ারী দুপুরে সাংবাদিকের একটি টিম ভেকু দিয়ে অবৈধভাবে নদীরপাড় খনন কাজের ছবি ক্যামেরা বন্দী করে ফিরার সময়, ভূমি দস্যুরা পিছন দিক থেকে দেশীয় অস্ত্র, লাঠি সোঠা নিয়ে ধাওয়া করে ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালজ করতে থাকে এবং বলে “সব মহলকে ম্যানেজ করে আমরা মাটি কাটছি, তোদের করার কিছুই নেই।” এবিষয়ে পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরমান হোসেনকে অবগত করা হলে তিনি বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।